Contact For add

Sun, Mar 9 2025 - 9:55:37 AM +06 প্রচ্ছদ >> জাতীয়

বিপুল পরিমান রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে রসের ফোটা, মুসলীম সুইট : খাওয়াচ্ছে পঁচা বাসি মেয়াদ উত্তীর্ণ মিস্টিবিপুল পরিমান রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে রসের ফোটা,মুসলীম সুইট : বিক্রি করছে মেয়াদ উত্তীর্ণ মিস্টি

বিপুল পরিমান রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে রসের ফোটা,মুসলীম সুইট : বিক্রি করছে মেয়াদ উত্তীর্ণ মিস্টি
হলি টাইমস রিপোর্ট :
কেন্দ্রীয় নিবন্ধন করে বিপুল অঙ্কের রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে অভিজাত মিস্টির দোকান রসের ফোটা এবং মুসলীম সুইটস। একই সঙ্গে সাধারণ ক্রেতাদের ব্রান্ডের নামে খাওয়াচ্ছেন বাসি পঁচা মেয়াদ উত্তীর্ন মিস্টি জাতীয় খাদ্য দ্রব্য।
সম্প্রতি মুসলীম সুইটস এবং রসের ফোটা দোকানে পরিদর্শনে গিয়েছিলেন রাজস্ব কর্মকর্তা  ফারুখ  মোড়ল। কেন্দ্রীয় ভ্যাট নিবন্ধনের সুযোগ নিয়ে বিপুল অঙ্কের ভ্যাট ফাঁকি দিচ্ছে মুসলীম সুইটস এবং রসের ফোটা। এই দুটি দোকানের মালিক হচ্ছেন কামরুল হাসান। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এই নামে তার অনেক গুলো দোকান রয়েছে। 
 
রাজস্ব কর্মকর্তা ফারুখ মোড়ল পরিদর্শন করছেন মুসলীম সুইটস, মিরপুর । ছবি : হলি টাইমস
 
রাজস্ব কর্মকর্তা মি. ফারুক বলেছেন, তার কর অঞ্চল শাহআলীতে মুসলীম সুইটস এবং রসের ফোটার চারটি দোকান রয়েছে।  দোকানের মালিক কামরুল হাসান এই দোকানগুলোর পণ্য বিক্রি থেকে অতীতে প্রতিমাসে ২৫ হাজার, ৩৫ হাজার এমনকি ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ভ্যাট দিয়েছেন। বর্তমানে এই চারটি দোকানের ভ্যাট বাড়ানোর কারনে হঠাৎ করে তিনি তার কর অঞ্চল থেকে সরে গিয়ে শ্যামলী কর অঞ্চলে ভ্যাট দিতে শুরু করেছেন। শাহআলী কর অঞ্চলে যেখানে তিনি ৩৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ভ্যাট দিয়েছেন সেখানে এই চারটি দোকানের অনুকুলে এখন শ্যামলী অঞ্চলে ভ্যাট দিচ্ছেন ১৮ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে। এতে সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব হারাচ্ছে। যার প্রভাব পড়ে যাচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বাজেটে। তিনি অভিযোগ করে বলেছেন, শাহআলী মার্কেটে মুসলীম সুইটস এবং রসের ফোটা দুটি দোকানই পাশাপাশি, দারুসালাম রোডে মুসলীম সুইট এবং মিরপুর বড়বাজারে মুসলীম সুইটের দোকানে যথাযথভাবে ক্রয়-বিক্রয়ের হিসাব খাতা সংরক্ষিত নেই। ক্রেতাদের যথাযথ ভ্যাট রশিদ দেওয়ারও প্রমান পত্র নেই। 
রসের ফোটা মিস্টির দোকান : শাহআলী মার্কেট, মিরপুর-১
 
রাজস্ব কর্মকর্তা ফারুক বলেছেন, তিনি যখন এই দোকানগুলোতে ভ্যাট ফাঁকির বিষয়টি ধরেছেন এবং যথাযথ নিয়মে ভ্যাটের  পরিমান বাড়িয়েছেন ঠিক তখনই তার অঞ্চল ছেড়ে কেন্দ্রীয় নিবন্ধনের সুবিধা নিয়ে শ্যামলী অঞ্চলে ভ্যাট দেওয়া শুরু করেছেন দোকান মালিক কামরুল হাসান। ওই অঞ্চলে প্রতিটি দোকানে গড়ে ভ্যাট দিয়েছেন ১৮ হাজার টাকা। অথচ ভ্যাট হওয়ার কথা  প্রতিমাসে ৫০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকার  মধ্যে। তিনি দৃঢ়ভাবে বলেছেন, কামরুল হাসান বিপুল অঙ্কের ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছেন। 
গত ৬ মার্চ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এই রাজস্ব কর্মকর্তা যখন অভিযান চালাচ্ছিলেন তখন হলি টা্ইমসের এই প্রতিবেদকসহ আরো কয়েকিট মিডিয়ার প্রতিবেদকরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তারা দেখেছেন, চারটি দোকানের সবকটি দেকানেই বিক্রি রেজিস্ট্রি বা হিসাবের খাতা যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা হয়না। একটি দোকানে বিক্রি রশিদ ক্রেতাদের জন্য চালুই করেনি। অন্য একটি দোকানে ভ্যাট মেশিন দুই মাস ধরে নষ্ট,  আরেকটি দোকানে ভ্যাট মেশিনই চালু করা হয়নি। আর একটি দোকানে কোনো বিক্রি রশিদ বই নেই। হোল্ডিং ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়ার জন্য ১৯৮০ সালের দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র দেখান।  ভ্যাট ফাঁকি দেওয়ার জন্য যে সব কৌশল গ্রহন করা প্রয়োজন তার সবই করেছেন, মুসলীম সুইটস এবং রসের ফোটার মালিক কামরুল হাসান। 
 
মিরপুর শাহআলী মার্কেটে মুসলীম সুইটস অ্যান্ড বেকারি : ছবি হলি টাইমস
 
কামরুল হাসান বলেছেন, বিক্রি কমেছে তাই ভাট সর্বনি¤œ কোটা হিসেবে প্রদান করেছেন। তবে তিনি তার অভিজাত চেইন সুপার মিস্টির দোকানগুলোতে যে মিস্টির গুণগতমানে পার্থক্য রয়েছে এবং পচা বাসি মিস্টি বিক্রি করা হচ্ছে সেই বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তবে সেই দোষ তিনি চাপিয়েছেন বেতনভুক্ত কর্মচারীদের ওপর। তিনি বলেছেন, দোকানের কর্মচারিরা হয়তো ভুলে নতুন পুরাতন মিস্টি একত্র করে বিক্রি করতে পারে। তিনি ভবিষ্যতের জন্য আরো সতর্ক হবেন। 
অভিজাত মিস্টির  দোকান রসের ফোটা এবং মুসলিম সুইটে যে খাবার অযোগ্য মিস্টি বিক্রি হচ্ছে তার  অনেকগুলো ভিডিও আমাদের হাতে এসেছে। যাচাই বাছাই শেষে আমরা তা পাঠকদের জন্য প্রকাশ করবো। 
 


Comments

Place for Advertizement
Add