পান্থকুঞ্জ পার্কে এক্সপ্রেসওয়ের প্রস্তাবিত র্যাম্প নির্মাণের সিদ্ধান্ত বাতিল এবং পার্ককে রক্ষায় বাংলাদেশ গাছ রক্ষার আন্দোলন যৌক্তিক এবং সময়োপযোগী। বিগত ২৪ দিন যাবত পান্থকুঞ্জ পার্কে অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করে পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতায় তরুণরা যে আন্দোলন করে আসছে, তা দেশের পরিবেশ আন্দোলনে এক নতুন দৃষ্টান্ত। পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন-পবা এই তরুণদের দাবি ও কর্মসূচীকে সমর্থন জানায়। কাঠালবাগান, হাতিরপুল এলাকার একমাত্র সবুজ উদ্যোন এই পান্থকুঞ্জ। এই উদ্যান ধ্বংশ হলে এই এলাকার পরিবেশ বিপর্যয় হবে এবং নাগরিকরা মানসিক ও শারিরীকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন-র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ঢাকা আজ বায়দুষণের নগরী। এই নগরীদের পার্ক আর মাঠগুলো বিভিন্ন ক্লাব দখল করে নিচ্ছে। মাঠ দখলে পিছিয়ে নেই সরকারী সংস্থাগুলো ওয়াসা পাম্প, সিটি কর্পোরেশনের ময়লার ডিপো, সড়ক বিভাগের স্থাপনা নির্মানের সামগ্রী রাখার মাধ্যমে দখল এবং ধ্বংশ চলছেই। সর্বশেষ নতুন পদক্ষেপ পার্ক ধ্বংশ করে র্যাম্প নির্মাণ। এ সকল কাজের মাধ্যমে সরকারী সংস্থাগুলো রাষ্ট্রের মাঠ, পার্ক জলাধার আইন ভঙ্গ করেছে। অথচ দুঃখের বিষয় পরিবেশ দপ্তর, বন অধিদপ্তর, রাজউক, জেলা প্রশাসন এসকল সংস্থা বিষয়ে এখনো আইনী কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। সরকারী এ সংস্থাগুলো শুধু আইনী ভঙ্গ করেনি, মাঠ, পার্ক রক্ষায় আদালতের নির্দেশনাও অমান্য করেছে।
পবা পাবলিক পরিবহনকে গুরুত্ব না দিয়ে প্রাইভেট গাড়ীবান্ধব এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের বিরোধীতা ২০০৬ সালে হতে করে আসছে। এ সকল প্রকল্প শুধু কিছু ব্যক্তির ব্যক্তিগত গাড়ী চলাচলের সুবিধা করবে। কিন্তু শহরের পরিবেশ দূষণ, যানজট বৃদ্ধি করবে। এ সকল প্রকল্প মানবিক, সমতাভিত্তিক ও পরিবেশবান্ধব নগর ব্যবস্থার অন্তরায়। কিছু মানুষের প্রাইভেট গাড়ীর সুবিধা নিশ্চিত করতে গিয়ে হাজার লক্ষ মানুষের প্রয়োজনীয় পার্ক ধ্বংশ করা হচ্ছে। এ ধরনের কার্যক্রম অসংবিধানিক, বেআইনী এবং অবিবেচনা প্রসুত।
পবা সরকারকে পান্থকুঞ্জ ও হাতিলঝিল ধ্বংশ করে র্যাম্প, স্থাপনা নির্মাণ প্রকল্পের পরিকল্পনা পরিবর্তনে সড়ক বিভাগকে নির্দেশনা প্রদানের আহবান জানায়। একই সাথে সকল নাগরিক ও পরিবেশবাদী সংগঠনকে বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলনের তরুণদের পাশে থেকে সহযোগিতা ও সমর্থনের অনুরোধ জানায়।