হলি টাইমস রিপোর্ট :
পারিবারিক ক্ষুদ্র ব্যবসা এবং সমবায় ভিত্তিক মুলধন জমিয়ে রাজধানী ঢাকায় ফ্লাট কিনেছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের দুইজন চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী। প্রতিমাসে চাকরির বেতনের টাকা থেকে পারিবারিক খরচ মেটানোর পর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সঞ্চয় দিয়ে নিজেদের একটু থাকার যায়গা করেছেন তারা। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ওই দুই কর্মচারি হচ্ছেন অফিস সহকারি খোকন মল্লিক এবং জসিম উদ্দিন।
সমালোচকরা বিভিন্নভাবে তাদের ওই সম্পদ অর্জন নিয়ে কথা বলার পর হলি টাইমসকে বিষয়টি জানিয়েছেন তারা। জসিম উদ্দিন জানিয়েছেন, মিরপুর-১০ অঞ্চলে তার স্ত্রীর একটি ছোট বুটিকের দোকান আছে।তাছাড়া তার পারিবারিক কিছু অর্থ ছিল যা দিয়ে তিনি সঞয় করেছেন। একই সঙ্গে তারা ৮ জন মিলে একটি জমি কেনার উদ্দেশ্যে কয়েক বছর ধরে সমবায় ভিত্তিক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সঞ্চয় গড়ে তুলেছিলেন। তাই দিয়ে সামান্য কিছু জমি কিনে বাড়ি করেছেন। সম্প্রতি হলি টাইমসে তাদের সম্পদ অর্জন নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেখানে তাদের সম্পদ অর্জন নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পরই তারা এর ব্যাখা দেন। জসিম উদ্দিন বলেন, তাদের এই বাড়ি বা ফ্লাট কেনা নিয়ে অনেকেই মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করেছেন। সে নিজে যথাযথ আয়কর দেন বলেও জানিয়েছেন। এদিকে খোকন মল্লিক জানিয়েছেন, তিনি যে বেতন পান তা দিয়ে ফ্লাট কেনা আদৌ সম্ভব নয়। ১২ নম্বর মিরপুর সি ব্লকের যে ফ্লাটটির কথা বলা হয়েছে বাস্তবে সেই ফ্লাটটি তাদের পারিবারিক। ওই ফ্লাটটি তার বাবা বন বিভাগে চাকরির করার সময় কিনেছিলেন। ফ্লাটটি তার একার নয়। পারিবারিক। ভাই বোন সবাই মালিক। তিনি শুধু এখানে থাকেন। যে কারনে অনেকেই ভুল ভাবে ব্যাখা করে ফ্লাটটি তার বলে চালিয়ে দেয়। তার অভিযোগ কিছু লোক মিডিয়াকে প্রভাবিত করে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করিয়েছে।
এছাড়াও ওই দুই চতুর্থশ্রেনীর কর্মচারি বলেছেন, তারা যেখানে কাজ করতেন সেখান থেকেই প্রষনে কর্তৃপক্ষ মিরপুর অঞ্চল-২ এ নিয়ে এসেছেন।তারা এখন অফিস সহায়ক হিসেবে কাজ করছেন। জনবল কম থাকায় উর্ধতন কর্তৃপক্ষ যদি তাদের দিয়ে অফিসের কাজ করায় তাতো মানতে হবে। এটা অফিস আদেশ। আমরাও মানতে বাধ্য। তবে তারা কোনো রকম দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নয়। ঘুষ লেনদেন বা টাকার বিনিমিয়ে কাজ করে দেওয়ার যে অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে উঠেছে তা সত্য নয়। নাগরিক হিসেবে বা মানুষ হিসেবে আমাদের একটু মাথা গোজার ঠাঁই দরকার । সন্তানদের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে আমরা আমাদের শ্রমের টাকায় একটু থাকার যায়গা করেছি। আমরা মনে করি নাগরিক হিসেবে এটা আমাদের অধিকার। আমরা যে পদে চাকরি করছি, সেখানে থেকে যেন মানুষের সেবা করার সুযোগ পাই।