পাবর্ত্য এলাকায় পরিবেশ ধ্বংশ করার দায়ে তামাক কোম্পানির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানিয়েছে পব। পবা আজ এক বিবৃতিতে জানায়, বিশ্বে প্রতি বছর তামাক চাষের কারণে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে ৩.৫ মিলিয়ন হেক্টর জমি । উজার হয়ে যাচ্ছে প্রায় ৫ শতাংশ বনভূমি। পৃথিবীর শীর্ষস্থানীয় পরিবেশ দূষণকারী হিসেবে চিহ্নিত তামাক কোম্পানি বাংলাদেশের পার্বত্য এলাকায় নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন করছে। ক্ষতিকর পণ্য তামাক প্রক্রিয়াজাতকরণে ব্যবহৃত হচ্ছে এসকল গাছ। অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়, পাহাড়ে মূল্যবান প্রজাতির গাছগুলো তামাকের তুন্দুলের ব্যবহৃত হচ্ছে লাকড়ি হিসাবে। উল্লেখ্য, ১ টন তামাক পাতা প্রক্রিয়াজাতকরণে প্রয়োজন ৫টন জ্বালানী কাঠ।
পবা অভিযোগ করে বলে, শুধু বৃক্ষ নিধন নয়, তামাক চাষের কারণে পার্বত্য এলাকাসহ কক্সবাজার, লামা এলাকায় মাটি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। তামাক চাষে ব্যবহৃত মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক, সার এবং অন্যান্য রাসায়নিক জল ও স্থলের জীব বৈচিত্রকেও ফেলছে মারাত্মক হুমকির মুখে। বান্দারবানের আলী কদম উপজেলার মাতামুহুরী নদী তামাক চাষের দখলে থাকায় নদীটির প্রাণ ও পরিবেশের মারাত্মক বির্পযয় ঘটেছে। এসকল এলাকার পরিবেশ বর্তমানে মারাত্মক হুমকির মুখে।
পবা সিগারেটের ফিল্টারকে বড় ধরনের পরিবেশগত বিপদের কারণ হিসেবে চিহ্নিত করে জানায়, সামুদ্রিক এবং স্বাদু পানির মাছ এবং প্রাণীদের জন্য সিগারেটের বাট থেকে পাওয়া তীব্র বিষাক্ত লিচেট (Leachate) অত্যন্ত ক্ষতিকর। এসকল বাট ৫-৭ বছরেও পঁচে না। এত ব্যাপক পরিবেশগত ক্ষতির দায় সিগারেট কোম্পানিগুলো কোনভাবেই এড়াতে পারে না। পরিবেশ বাচাঁও আন্দোলন (পবা) দ্রুত 'তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ নীতি’ পাস এবং স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিধ্বংসী সিগারেট কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছে।