যুক্তরাজ্যের মন্ত্রিপরিষদ অফিসে ‘চিফ মাউসার’ হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে ল্যারি। ২০০৭ সালে জন্ম নেওয়া ল্যারিকে ব্যাটারসি ডগস অ্যান্ড ক্যাটস হোম থেকে উদ্ধার করা হয়। বাদামী-সাদা ট্যাবি এই বিড়ালটিকে ২০১১ সালে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে আনা হয়। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের অত্যন্ত প্রিয় ছিল ল্যারি। তারপর থেকে একের পর এক উত্থান-পতন হয়েছে ব্রিটিশ রাজনীতিতে। দেশে নির্বাচনী লড়াই, রাজনৈতিক পালাবদল- সবকিছু দেখেও তার অবস্থানের কোনো পরিবর্তন নেই। কনজারভেটিভ জামানা শেষ লেবার পার্টির জামানায় প্রবেশ করেছে যুক্তরাজ্য। এরই মধ্যে ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের বাসিন্দা হয়ে এসেছেন নতুন প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার।
ব্রেক্সিট থেকে শুরু করে করোনা মহামারিতে বারবার বিপর্যস্ত হয়েছে যুক্তরাজ্য। একের পর এক প্রধানমন্ত্রী মেয়াদ শেষের আগেই পদত্যাগ করেছেন, বিদায় জানিয়েছেন ১০ ডাউনিং স্ট্রিটও। কিন্তু রয়ে গেছে ল্যারি।।যুক্তরাজ্যের গত ১৪ বছরের রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে ডাউনিং স্ট্রিটে ল্যারি অবিচ্ছিন্ন উপস্থিতি রয়ে গেছে। ২০১১ সাল থেকে পাঁচজন রক্ষণশীল প্রধানমন্ত্রীর অধীনে কাজ করছে সে। তাছাড়া মার্গারেট থ্যাচার, টনি ব্লেয়ার, উইনস্টন চার্চিল ও বেঞ্জামিন ডিসরেইলি- এর চার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর চেয়েও বেশি সময় ধরে এখানে দায়িত্ব পালন করেছে।
হাজারো দায়িত্বের গুরুভার রয়েছে এই ছোট্ট চতুষ্পদী প্রাণীর উপর। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন থেকে ইদুরবাহিনীকে দূর করা থেকে দেশ-বিদেশের হেভিওয়েট অতিথিদের আপ্যায়ন- সব কাজেই ডাক পড়ে ল্যারির। তাছাড়া নিয়মিত ফটোগ্রাফারদের জন্য গম্ভীর মুখে ফটোজেনিক পোজও দেয় ল্যারি।গত ১৪ বছরে ৫ জন প্রধানমন্ত্রী পেয়েছে যুক্তরাজ্য। ২০২৪ সালের নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রীত্ব থেকে বিদায় নেন ঋষি সুনাক। অর্থাৎ নিজের কার্যকালে মোট ৬ জন প্রধানমন্ত্রীকে ডাউনিং স্ট্রিটে দেখবে বিখ্যাত এই বিড়াল। ডুবে যাওয়া অর্থনীতি, দেশের প্রশাসনের অস্থিরতার মধ্যে ল্যারি যেন ধ্রুবতারার মতো স্থির। হাফ ডজন প্রধানমন্ত্রী পেরিয়েও নিজের দায়িত্ব পালনে অবিচল এই ছোট্ট প্রাণীটি। সূত্র: দ্য ক্যানবেরা টাইমস, এনডিটিভি