ভারতের লোকসভার ৪৯ জন বিরোধী সদস্যকে সাসপেন্ড বা বরখাস্ত করা হয়েছে।সংসদে হট্টগোলের জেরে আজ মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) উক্ত সদস্যদের বরখাস্ত করেছেন স্পিকার ওম বিড়লা।
সোমবারও সংসদের দুই কক্ষ মিলিয়ে মোট ৭৮ জন সদস্যকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। গত সপ্তাহে সাসপেন্ড করা হয়েছিল ১৪ জন সদস্যকে।
ফলে চলতি অধিবেশনের মতো সংসদের আর কোনো অধিবেশনে এত জন সংসদ সদস্যকে এক সঙ্গে সাসপেন্ড হয়নি। অনেকেই মনে করছেন মঙ্গলবার কার্যত বিরোধীশূন্য হয়ে গেছে ভারতের সংসদ।
মঙ্গলবার সাসপেন্ড হওয়া সংসদ সদস্যদের তালিকায় রয়েছেন তৃণমূলের মালা রায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেসের শশী থারুর, কার্তি চিদম্বরম, এনসিপির সুপ্রিয়া সুলে, এনসি-র ফারুক আবদুল্লা, এসপির ডিম্পল যাদব, ডিএমকে-র এস সেন্থিলকুমার, বিএসপির সাসপেন্ড হওয়া সদস্যরা হলেন দানিশ আলি, আপের সুশীল কুমার রিঙ্কু প্রমুখ।
সংসদের ভেতরে অভব্য আচরণ, সংসদের গরিমা নষ্ট ও স্পিকারকে অবমাননার অভিযোগে এই সদস্যদের সাসপেন্ড করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। সাসপেন্ড করার প্রস্তাবটি লোকসভায় পেশ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল।
সংসদ সদস্যদের সাসপেন্ড করার প্রসঙ্গে সংসদবিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী বলেন, বলা হয়েছিল হয়েছিল সংসদে প্ল্যাকার্ড আনা যাবে না। কিন্তু নির্বাচনে হারার পরে তারা (বিরোধী সদস্যরা) মরিয়া হয়ে এই ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছেন। তাই আমরা এই (সাসপেন্ড করার) প্রস্তাব আনছি।
গত বুধবার লোকসভায় ‘রংবোমা’ বোমা হামলার ঘটনার পর থেকেই সংসদ ভবনের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে অধিবেশনে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। গত সপ্তাহের পর সোমবারও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিবৃতির দাবিতে স্লোগান তোলেন তারা। মঙ্গলবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত মোট ১৪১ জন সংসদ সদস্য সাসপেন্ড হলেন।
শুক্রবার পর্যন্ত সংসদের শীতকালীন অধিবেশন চলার কথা। তার আগে কার্যত বিরোধীশূন্য হয়ে গেলো ভারতীয় সংসদের দুই কক্ষ।
সূত্র: এনডিটিভি