হলি টাইমস রিপোর্ট :
আদালতের নিষেধাজ্ঞা জারির পরেও রিয়েল এস্টেট এন্ড হাউজিং এসোয়েশন অব বাংলাদেশ,রিহ্যাব কিভাবে বার্ষিক সাধারণ সভা করেছে তার বিস্তারিত তথ্য প্রেরণ করতে নিদের্শ দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। অপরদিকে রিহ্যাব পরিচালনা পরিষদ নির্বাচনে যে সকল প্রার্থী মনোনয়ন ফি জাম দিয়েছিলেন নির্বাচন যথা সময়ে না হওয়ায় তাদের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কি-না সেই বিষয়টিও জানতে চেয়েছে সংশ্লিস্ট মন্ত্রনালয়টি।
বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সুবর্না সরকার স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রে (স্মারক নম্বর–২৬.০০.০০০০.১৫৭.৩৩.০০৩.৯২.৬২৮) রিহ্যাবের যে সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে তার তথ্য প্রমান পাঠাতে বলা হয়েছে। গত ০৫/১১/২০২৩ ইং তারিখে বানিজ্য মন্ত্রনালয় রিহ্যাবকে ওই পত্রটি দেয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, নিয়ম অনুযায়ি রিহ্যাবের বার্ষিক সাধারণ সভা অনেক দিন আগে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটিতে যারা রয়েছেন তারা সঠিক সময়ে বার্ষিক সাধারণ সভা করতে পারেনি। পরে ওই কমিটি গত ২৮ অক্টোবর-২০২৩ইং তারিখে সাধারণ সভার দিন নির্ধারণ করে । কিন্তু ২৬ অক্টোবর তারিখে ঢাকার ১ম সহকারী জজ আদালত ওই বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠানের ওপর স্থগিতাদেশের মতো বিধি নিষেধ আরোপ করে।
আদালতের ওই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই রিহ্যাবের বর্তমান কমিটি ২৮ অক্টোবর তারিখে সাধারণ সভা সম্পন্ন করেছে। রিহ্যাব কিভাবে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ওই সাধারণ সভা করেছে সম্ভবত সেই তথ্য প্রমানই চেয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য সংগঠন সম্পর্কিত প্রবিধান কিংবা কোম্পানি আইনের রুলস অব রেগুলেশন অনুযায়ী, বার্ষিক সাধারণ সভার মেয়াদ উর্ত্তিন হয়ে গেলে নিয়ম অনুযায়ী আদালতের আদেশ গ্রহন করে বার্ষিক সাধারণ সভা করতে হয়। সেই আইন মানেনি রিহ্যাব।
এদিকে ২০২৩-২০২৫ বর্ষের জন্য রিহ্যাব পরিচালনা পর্ষদ গঠনে যে নির্বাচনী তফসিল ঘোষিত হয়েছিল তাতে অনেকেই মনোনয়ন পত্র কিনেছিলেন। কিন্তু তফসিল ঘোষনার কয়েকদিন পর একজন পরিচালক আদালতে মামলা করে এবং আদালতের আদেশে নির্বাচনটি স্থগিত করা হয়। কিন্তু পরে ওই মামলার শুনানী শেষে আদালত উক্ত আদেশ বাতিল করে। এখন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানতে চেয়েছে সেই সময় যে সব প্রার্থী নির্ধারিত ফি প্রদান করে মনোনয় পত্র কিনেছিলেন তাদের বিষয়ে রিহ্যাব কোনো নির্দেশনা গ্রহণ করেছে কি-না।
সাম্প্রতিক সময়ে রিহ্যাব ভাইস প্রেসিডেন্ট সোহেল রানার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকজন ফ্লাট ক্রেতা প্রতারণার অভিযোগে মামলা করেছেন। এমনকি রিহ্যাবের বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধেও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচনের মাধ্যমেই কেবল আবাসন শিল্প মালিকদের এই সংগঠনটির কাযর্ক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হতে পারে।