বৃহস্পতিবারও (১২ অক্টোবর) চট্টগ্রাম বিভাগে বৃষ্টি থাকতে পারে। ছিটেফোঁটা বৃষ্টি হতে পারে অন্যান্য অঞ্চলেও। তবে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর সঙ্গে সঙ্গে আগামী শনিবার থেকে আপাতত বৃষ্টি বিদায় নিতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত খুলনা ও রাজশাহী বিভাগে কোনো বৃষ্টি হয়নি। এছাড়া সব বিভাগেই কম-বেশি বৃষ্টি ছিল। ঢাকায়ও বুধবার বিকেলে সামান্য বৃষ্টি হয়েছে। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি ৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে টেকনাফে।

বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) শরতের দ্বিতীয় মাস আশ্বিনের ২৮ তারিখ। তিনদিন পরই শুরু হবে হেমন্তকাল।

আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, মৌসুমি বায়ুর অক্ষ পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস তুলে ধরে আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা জানান, চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায়; বরিশাল ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও খুলনা বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

শুক্রবারও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কম-বেশি বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, শনিবার অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত: শুষ্ক থাকতে পারে। শনিবার সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিতে পারে বলেও জানান শাহানাজ সুলতানা।

বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল খুলনায়। বৃহস্পতিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায়।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘন্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।