গাজীপুরে সংঘবদ্ধ আন্তঃজেলা পিকআপ চোরচক্রের ৯ সদস্যকে গ্রেফতার এবং চোরাই চারটি পিকআপ উদ্ধার করেছে জিএমপি পুলিশ। মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে জিএমপির উপ-কমিশনার (অপরাধ, উত্তর) আবু তোরাব মো. শামছুর রহমান এ তথ্য জানান।
ব্রিফিংয়ে জিএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ উত্তর) মো. খায়রুল আলম, সহকারি পুলিশ কমিশনার (সদর জোন) ফাহিম আসজাদ ও বাসন থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবুসিদ্দিক উপস্থিত ছিলেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. ইয়াসিন (১৯), মো. ইলিয়াস (২৭), মো. রমজান (৩০), মো. নাহিদ (২৩), মো. বেলাল খাঁ (৪০), আব্দুল আলিম (৩০), কাশেম বেপারী (৩৫), বাবুল মিয়া (৪০) ও আবু বকর সিদ্দিক (৫২)।
জিএমপির উপ-কমিশনার আবু তোরাব মো. শামছুর রহমান বলেন, গত ৫ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে বাসন থানার ভোগড়া এলাকায় চট্টগ্রামগামী রোডের স্কয়ার ফ্যাক্টরির সামনে থেকে ৬ লাখ টাকা মূল্যমানের একটি পিকআপ চুরি হয়। এ ব্যাপারে পিকআপটির মালিক আবুল বাশার থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর ঘটনা তদন্তে পুলিশের একাধিক টিম কাজ শুরু করে। এক পর্যায়ে শ্রীপুর উপজেলায় অভিযান চালিয়ে চোর চক্রের সদস্য ইয়াসিন ও ইলিয়াসকে একটি পিকআপসহ গ্রেফতার করা হয়। পরে পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত তাদের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
তিনি আরও বলেন, পুলিশের রিমান্ডে গ্রেফতারকৃতরা জানায়- তারা আন্তঃজেলা চোর চক্রের সদস্য এবং তাদের দখলে আরও চোরাই পিকআপ রয়েছে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যমতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত নাহিদ ও রমজানকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযানের এক পর্যায়ে সালনা থেকে গ্যারেজ মালিক কাশেম বেপারীকে গ্রেফতার ও তার গ্যারেজ থেকে চোরাই পিকআপ উদ্ধার করা হয়।
জিএমপির উপ-কমিশনার বলেন, পরবর্তীতে কালিয়াকৈর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মো: বেলাল খাঁ ও আব্দুল আলীমের কাছ থেকে একটি চোরাই পিকআপ এবং ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া থানা এলাকা থেকে বাবুল মিয়া ও আবু বকর সিদ্দিককে গ্রেফতার করে তাদের কাছ থেকে অপর একটি চোরাই পিকআপ উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।