হলস্ট্যাট, মধ্য ইউরোপের দেশ অস্ট্রিয়ার একটি শহর। ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ এই হলস্ট্যাটের জনসংখ্যা মাত্র ৭০০ জন। কিন্তু ভরা মৌসুমে এখানে দৈনিক পর্যটকের সংখ্যা দাঁড়ায় গড়ে ১০ হাজার। আর এ কারণে অতিষ্ঠ শহরবাসী। তাই গণপর্যটনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন হলস্ট্যাটের বাসিন্দারা। পর্যটকের সংখ্যা সীমিত করাসহ একাধিক দাবি জানিয়েছেন তারা।
বাসিন্দাদের দাবি, দৈনিক হিসেবে পর্যটকদের সংখ্যা সীমাবদ্ধ করতে হবে ও বিকাল পাঁচটার পর পর্যটন বাসে নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে।
শহরটির অর্থনীতিতে পর্যটন ইতিবাচক প্রভাব ফেললেও স্থানীয়রা বলছেন, এখন অতিরিক্ত দর্শনার্থীর কারণে তাদের জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।
পর্বত, হ্রদ, চার্চ ও পুরোনো সুরম্য প্রাসাদে শোভিত শহর হলস্ট্যাট। সেলফির জন্য এসব স্থান এখন আদর্শ হয়ে উঠেছে। সব মিলিয়ে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটি পর্যটনের হটস্পট হয়ে উঠেছে।
২০০৬ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি রোমান্টিক নাটকে শহরটি দেখানো হয়। এরপর এশিয়ায় এতটা জনপ্রিয়তা পায় যে শহরটির প্রতিরূপ নির্মিত হয় চীনে।
ইউরোপের সবচেয়ে বেশি পর্যটকের গন্তব্য হিসেবে হলস্ট্যাটে বেশির ভাগ দর্শকই ডে ট্রিপার, যারা বড় কোচে শহরে আসেন।
গত মে মাসে শব্দ দূষণ ও ট্রাফিক জ্যামের প্রতিবাদে বাসিন্দারা সেলফি তোলার সবচেয়ে জনপ্রিয় স্পটে কাঠের প্রাচীর তৈরি করে। এতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে আল্পস পর্বতের দৃশ্য। পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিরূপ প্রতিক্রিয়া এলে আচ্ছাদন সরিয়ে নেওয়া হয়।
শহরের মেয়র বলেছেন, হলস্ট্যাটের মধ্য দিয়ে যাওয়া বাসের সংখ্যা এক তৃতীয়াংশ কমাতে চান।
কোভিড-১৯ মহামারীর এক বছর আগে প্রায় ১০ লাখ মানুষের গন্তব্য ছিল হলস্ট্যাট।
সূত্র: বিবিসি