
প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি) ছেড়ে যেতে চান ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার কিলিয়ান এমবাপে। মূলত নতুন চুক্তি নিয়ে ক্লাবের সঙ্গে মতবিরোধের তৈরি হয়েছে তার। এমবাপে চান, ফ্রি এজেন্ট হওয়ার পর পিএসজির সঙ্গে নতুন চুক্তি নিয়ে ভাববেন। কিন্তু পিএসজি চায়, এখনই পরের ১২ মাসের জন্য চুক্তিবদ্ধ করতে।ক্লাবের সঙ্গে মতবিরোধের জের ধরে মাসুল দিতে হচ্ছে এমবাপেকে। তাকে পিএসজির প্রথম দলের সঙ্গে অনুশীলন করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় পিএসজি কর্তৃপক্ষ। এমবাপে এখন অনুশীলন করছেন ক্লাবের অতিরিক্ত ফুটবলারদের সঙ্গে। সতীর্থদের ক্ষুব্ধ এমবাপে বলেছেন, যে কোনও প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে ক্লাবের প্রথম দলকে হারানোর ক্ষমতা রয়েছে তাদের।
পিএসজির সঙ্গে এই ঝামেলার জের ধরে মনে করা হচ্ছে, প্যারিসে সম্ভবত আর তার খেলা হবে না। সে ক্ষেত্রে কোথায় যেতে পারেন তিনি? রিয়াল মাদ্রিদ এরইমধ্যে প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে, এমবাপেকে দলে নেয়ার জন্য। ১৮০ মিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাব নিয়ে তারা প্রস্তুত।
পিএসজির এই ফুটবলারকের কিন্তু টাকায় মুড়িয়ে দিতে চেয়েছিলো সৌদি ক্লাব আল হিলাল। ৬০০ মিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাব দিয়েছিলো তারা। কিন্তু সৌদি ক্লাব প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখাই করেননি তিনি। পিএসজিও ধরে নিয়েছে, রিয়ালের সঙ্গে এমবাপের সমঝোতা প্রায় হয়ে গেছে। এ কারণেই এমবাপেকে প্রথম দলের সঙ্গে অনুশীলনে নিচ্ছে না তারা! এমনকি লিগের প্রথম দুই ম্যাচের দলেও রাখা হবে না তাকে।
রিয়াল মাদ্রিদ অবশ্য এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো প্রস্তাব দেয়নি এমবাপের জন্য। যদিও সোমবার ফ্রান্সের বিখ্যাত দৈনিক এলইকুইপে জানিয়েছে, দলবদলের সময় শেষ হয়ে আসছে বলে এবার প্রস্তাব দিতে যাচ্ছে রিয়াল। পিএসজির কাছে তারা প্রস্তাব পাঠাবে ১৮০ মিলিয়ন ইউরোর।
চুক্তির আর এক বছর বাকি থাকায় অঙ্কটা যথেষ্ট মনে করছে রিয়াল। এ জন্য শর্ত একটাই। এমবাপ্পেকে বলতে হবে, ‘আমি পিএসজি ছাড়তে চাই।’ এমবাপ্পে আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন, ২০২৪ সালে চুক্তির মেয়াদ পূর্ণ করে পিএসজি ছাড়বেন।
কিন্তু এক বছর আগে ক্লাব ছাড়তে চাইলে আবারও সেটা বলতে হবে তাকে। মোটা অংকের আনুগত্য বোনাসের জন্য এমবাপে সেটা চান না। রিয়ালও চাইছিল আগামী মৌসুমে তাকে বিনা পয়সায় পেতে। তবে করিম বেনজেমার যোগ্য রিপ্লেসমেন্ট না থাকায় এমবাপেকে এই মৌসুমেই পেতে চায় তারা। পিএসজির সঙ্গে রিয়ালের সমঝোতা এই মৌসুমেই হবে বলে গতকাল জানান ইএসপিএনের সাংবাদিক রদ্রিগো ফায়েজ। স্বপ্নের ক্লাবে এবার সত্যিই এমবাপ্পে আসছেন কি না, সেটাই দেখার।