নাম রাজা বাবু হওয়ায় খাওয়া-দাওয়া রাজা বাবুর মতো। আর নামের সাথে মিশে রয়েছে আচার-ব্যবহার। হাঁটাচলা, নম্র-ভদ্র ও লাজুক প্রকৃতির হওয়ায় কলা-মাল্টা খাইয়ে তাকে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। বর্তমানে তার ওজন ৩৮ মণ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার শাহাবাজপুর ইউনিয়নের হাজারবিঘি চাঁদপুর গ্রামের প্রান্তিক খামারি ও সাবেক ইউপি সদস্য জুলফিকার আলী হলস্টেইন ফ্রিজিয়ান জাতের এই ষাড়টি গত এক বছর ধরে লালনপালন করে আসছেন। বছর ধরে প্রাকৃতিক উপায়ে খাবার ও ঘাস খাইয়ে পরম মমতায় বেড়ে তুলেছেন রাজাবাবুকে।
জুলফিকার আলী বলেন, রাজাবাবুর খাবারের তালিকায় রয়েছে, প্রাকৃতিক খাবারের পাশাপাশি কলা, আপেল, কমলা, বেদানা ও মৌসুমী ফল আম। প্রতিদিন রাজাবাবুর পেছনো ব্যয় করা হয় প্রায় ১২০০ টাকা। লম্বা ও উচ্চতায় ফিতার মাপে রাজাবাবুর ওজন ধরা হয়েছে প্রায় ৩৮ মণ এবং কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে তার দাম হাঁকা হচ্ছে ১৭ থেকে ১৮ লাখ টাকা।
তিনি আরও বলেন, কোনো প্রকার ওষুধ ছাড়ায় প্রাকৃতিক উপায়ে লালন-পালন করা হচ্ছে তার ষাঁড়টি। যার নাম রাখা হয়েছে রাজাবাবু। এবছর রাজাবাবুকে কোরবানির ঈদে বিক্রি করার চেষ্টা করছেন তিনি।
জুলফিকার আলী বলেন, কোরবানির ঈদকে ঘিরে ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্নস্থান থেকে পাইকাররা রাজাবাবুকে দেখতে আসছেন এবং একেকজন একেক রকম দাম বলছেন। তবে কাঙ্ক্ষিত দাম এখনও কেউ বলেননি। তবে স্থানীয়ভাবে দাম না পেলে চট্টগ্রামের বাজারে পাঠানো হবে ষাঁড়টি।
এ প্রসঙ্গে জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, রাজাবাবু জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় ষাঁড়। তাই ষাড়টিকে বিক্রির জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা হবে প্রাণীসম্পদ দপ্তরের পক্ষ থেকে। খামারি জুলফিকার আলীকে তার দপ্তরের পক্ষে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হয়ে থাকে।