প্রচণ্ড গরমে চারদিকে হাঁসফাঁস অবস্থা। তার ওপর ভোগান্তি বাড়াচ্ছে লোডশেডিং। একটু স্বস্তি পেতে চেষ্টার কমতি নেই মানুষের। তারপরও গরম থেকে মিলছে না মুক্তি।এ অবস্থায় ভিন্ন চিত্র দেখা গেল ঝিনাইদহ শহরের পাগলাকানাই মোড়ের আকুল হোসেনের ফলের দোকানে। দাবদাহ থেকে নিজেকে একটু স্বস্তি দিতে তার ফলের দোকানের চালে চাষ করেছেন ঘাস। দোকানের চালার ওপর পলিথিনে মাটির আস্তরণ দিয়ে লাগিয়েছেন ঘাস। যা তার দোকানকে দিচ্ছে ঠান্ডার ছোঁয়া। ফলে অন্য দোকানের তুলনায় এ ফলের দোকানে নেই গরমের তীব্রতা।
ইউটিউবে ঘরের ছাদে গাছ লাগিয়ে ঘর ঠান্ডা রাখার কৌশল দেখে তার ইচ্ছা জাগে, তিনি তার ছোট্ট দোকানঘর ঠান্ডা করার ব্যবস্থা করবেন। চার বছর আগে দোকানের ওপরে থাকা পলিথিনে মাটি দেন। সেই মাটিতে ‘লক্ষমী ঘাস’ বলে পরিচিত একধরনের ঘাস লাগিয়ে দেন। সেই ঘাসে সকালে ও সন্ধ্যায় পানি দেন। এখন সেই ঘাসগুলো আকুল হোসেনের দোকানের ওপর যেন এক টুকরা সবুজ। দোকানেও বেশ ঠান্ডা পরিবেশ।
আকুল হোসেন জানান, নিয়মিত সকাল-সন্ধ্যা পানি ছিটানোর পাশাপাশি তিনি ঘাসের পরিচর্যা করেন। এতে তার দোকানের ফল যেমন ভালো থাকে তেমনি স্বস্তিতে বেচাবিক্রিও করতে পারেন তিনি।
আকুল হোসেনের দোকানে বর্তমানে ৮০-৯০ হাজার টাকার ফল আছে। প্রতিদিন ২৫-৩০ হাজার টাকার ফল বিক্রি হচ্ছে, যা থেকে দিনে ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা আয় হচ্ছে।
এক ক্রেতা বলেন, অনেকদিন ধরেই দেখছি দোকানটির চালের ওপর ঘাস লাগানো। ঘাসগুলো চালের ওপর ছড়িয়ে পড়েছে। ফলের দোকানে ছাদের ঘাসগুলো দেখতে যেমন ভালো লাগে, তেমনি তীব্র গরমে দোকানকে ঠান্ডা পরিবেশ দিচ্ছে এ ঘাস।