Thu, Feb 6 2025 - 9:09:10 AM +06

ড্যাপ সংশোধন ও ইমারত নির্মান বিধিমালা চূড়ান্ত করতে রিহ্যাবের ১৫ দিনের আল্টিমেটাম


News Image

হলি টাইমস রিপোর্ট :

আগামি পনের দিনের মধ্যে বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) সংশোধন ও ইমারত নির্মাণ বিধিমালা চূড়ান্ত করতে সরকারকে ১৫ দিন সময় বেঁধে দিয়েছে আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিহ্যাব। এই সময়ের মধ্যে দাবি বাস্তবায়িত না হলে আবাসন খাতের সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন সংগঠনের নেতারা।

রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বুধবার সংবাদ সম্মেলন করে এই ঘোষণা দেন রিহ্যাব নেতারা। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রিহ্যাব সভাপতি মো. ওয়াহিদুজ্জামান।

সংবাদ সম্মেলনে রিহ্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আক্তার বিশ্বাস, আব্দুল লতিফ, আব্দুর রাজ্জাক, পরিচালক প্রেস অ্যান্ড মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ লাবিব বিল্লাহ্, দেওয়ান নাসিরুল হক, মো. কামরুল ইসলাম, এ এফ এম উবায়দুল্লাহ, মো. হারুন অর রশিদ এবং মো. আইয়ুব আলী উপস্থিত ছিলেন।

রিহ্যাবের সভাপতি মো. ওয়াহিদুজ্জামান অভিযোগ করেন, “বৈষম্যমূলক ও ক্রটিপূর্ণ ড্যাপ প্রকাশের পর থেকে ঢাকাসহ বড় শহরগুলোর জমির মালিকরা ক্ষোভে ফুঁসছে। রিহ্যাবের পক্ষ থেকে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে অসংখ্যবার সভা করা হয়েছে, চিঠি এবং নতুন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ড্যাব এবং ইমারত নির্মাণ বিধিমালা সংশোধনে বারবার আশ্বাস দেওয়া হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।

“আমরা অনেক দিন ধৈর্য ধরেছি। অন্য সংস্থা বা সংগঠনের মত রাস্তায় আন্দোলন না করে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিব্রত না করে সহিষ্ণুতার সাথে কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমাদের পিঠ একেবারে দেয়ালে ঠেকে গেছে। নানা ছলচাতুরি করে সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে।”

রিহ্যাব সভাপতি বলেন, “আমরা আজকের সংবাদ সম্মেলন থেকে ড্যাপ ও নির্মাণ বিধিমালার সাথে সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থাকে বলতে চাই, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ঢাকা মহানগর ইমারত নির্মাণ বিধিমালা বাস্তবায়ন করতে হবে।

“কোনো ধরনের সময়ক্ষেপণ এবং টালবাহানা চলবে না। এই সময়ের মধ্যে কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে জমির মালিকসহ অংশীজনদের সাথে নিয়ে কঠোর আন্দোলন শুরু করা হবে। আমাদের সামনে আর কোনো পথ খোলা নেই।”

ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, এ খাতের বিশেষজ্ঞ এবং সরকার অনেক যাচাই-বাছাইয়ের পর ঢাকা মহানগর ইমারত নির্মাণ বিধিমালা-২০০৮ জারি করে। এতে খাল-বিল জলাশয় সংরক্ষণ এবং রাস্তা প্রশস্ত করার ব্যবস্থা রাখা হয়। কিন্তু সেই বিধিমালা বাস্তবায়ন  না করে আড়াই বছর আগে বৈষম্যমূলক ও ত্রুটিপূর্ণ ড্যাপ প্রকাশ করা হয়। এর পর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছেন জমির মালিকেরা। রিহ্যাব ধারাবাহিকভাবে ড্যাপ সংশোধনে সরকারের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অসংখ্য সভা করেছে; একই সঙ্গে চিঠি ও নতুন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বারবার আশ্বাস দিয়েছে। দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও এই বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এই পরিস্থিতিতে আবাসন ব্যবসায়ীদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে।

“কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, নতুন ড্যাপের কারণে ঢাকা মহানগরের ৮০ শতাংশ অপরিকল্পিতই থেকে যাবে। ফার (ফ্লোর এরিরা রেশিও) সুবিধা কমিয়ে দেওয়ার ফলে ভূমি মালিকরা ভবন নির্মাণে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন। এতে মহল্লার রাস্তা অপ্রশস্ত থেকে যাচ্ছে। ঢাকা শহরের ৮০ শতাংশ এরিয়াকে অপরিকল্পিত রেখে নগরবাসীকে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেওয়া হচ্ছে।

রিহ্যাব সভাপতি বলেন, নতুন ড্যাপে ভবনের উচ্চতা কমানোর কারণে নতুন প্রকল্প নেই বললেই চলে। ফলে প্রকল্পগুলোতে নতুন নিয়োগ একেবারেই বন্ধ। কাজ না থাকায় অনেকেই বেকার হচ্ছেন; এই বেকার জনগোষ্ঠীর অনেকে বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছেন। নাগরিক ঝুঁকি বাড়ছে। এজন্য অতি দ্রুত ড্যাব সংশোধন করতে হবে।