বায়ুদুষণ বিধিমালা লঙ্ঘন করে যে সকল প্রতিষ্ঠান অবকাঠামো তৈরি করছ; তাদের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে অভিযোগ প্রদানে নাগরিকদের আহবান জানানো হয়। দুষণ রোধে পরিবেশ অধিদপ্তর এবং অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থায় নাগরিকদের অভিযোগ দিতে হবে। ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে সেন্টার ফর ল এন্ড পলিসি এফেয়ার্স (সিএলপিএ) এবং গ্রীন ফোর্স আয়োজিত ”জলবায়ু পরিবর্তন এবং বায়ুদূষণ প্রতিরোধে তরুণদের করনীয় বিষয়ক কর্মশালা” য় বক্তারা এই অভিমত ব্যক্ত করেন। কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং সংগঠনের প্রায় ৩৫ প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
বক্তারা বলেন, ২০২২ সালে গ্লোবাল এয়ার কোয়ালিটি মনিটরিং সংস্থার “এয়ার ভিজুয়াল” প্রতিবেদনে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ুর দেশের মধ্যে বাংলাদেশকে প্রথম স্থানে রাখা হয়েছে। বাংলাদেশে দ্রুত নগরায়ন, অনিয়ন্ত্রিত শিল্পায়ন, এবং অপরিকল্পিত নির্মাণ কার্যক্রম বায়ু দূষণের মূল উৎসগুলির মধ্যে অন্যতম। এই দূষণ শুধুমাত্র জনস্বাস্থ্যের ওপর নয়, দেশের অর্থনীতিতেও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে।
বক্তারা বলেন, প্রতিটি অবকাঠামো তৈরিতে পরিবেশ সংরক্ষনের জন্য বাজেটে থাকলেও, তা ব্যয় করা হয় না। প্রকল্পের অবকাঠামোর মাটি, বালু, সিমেন্ট অন্যান্য ধুলা সৃষ্টিকারী উপাদান ঢেকে না রাখার কারনে প্রচুর বায়ু দুষণ হচ্ছে। পরিবেশ অধিদপ্তরকে এ সকল প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সেই সাথে আইনের লঙ্ঘন মনিটরিং এ নাগরিকদের সম্পৃক্ত করতে পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি।
কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার, চেয়ারম্যান পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ, ডিন বিজ্ঞান অনুষদ স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এবং প্রতিষ্ঠাতা চেয়াম্যান, বায়ুমন্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস), এডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম সেক্রেটারী, সেন্টার ফর ল এন্ড পলিসি এফেয়ার্স (সিএলপিএ), মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ সুমন, সাধারণ সম্পাদক, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) ও সমন্বয়কারী গ্রীনফোর্স, জনস্বাস্থ্য বিশেষ্ণগ অধ্যাপক আ ফ ম সারোয়ার ও আমিনুল ইসলাম বকুল সেন্টার ফর ল এন্ড পলিসি এফেয়ার্স (সিএলপিএ )।