মাদারীপুরে বুধবার (২৩ আগস্ট) দিনব্যাপী দুদকের গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। গণশুানিতে ৩৮টি দপ্তরের বিরুদ্ধে ১০৭টি অভিযোগ আসে।
এর মধ্যে ৩৬টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ শুনানির জন্য সেবাপ্রার্থী জনসাধারণ সরাসরি উপস্থাপন করেন। উপস্থাপিত ৩৬টি অভিযোগের মধ্যে মাদারীপুর ৩টি বিষয়ে দুনীতি কমন কমিশন কর্তৃক অনুসন্ধান করার জন্য প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং ১০টি অভিযোগের তাৎক্ষনিকভাবে সমাধান করা হয়।
অুনষ্ঠানে সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশ থেকে দুর্নীতি নির্মূল করা হবে উল্লেখ করে দুর্নীতি দমন কমিশনের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, দুর্নীতি করে কেউ বাচঁতে পারবেনা, জনসচেতনতাই রুখবে দুর্নীতি।
মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খানের সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় এ গণশুনানিতে আরও বক্তব্য রাখেন দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন, ঢাকা বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ মোরশেদ আলম, মাদারীপুর জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মো. মোস্তফা হাওলাদার, মাদারীপুর জেলার পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম, বিপিএম(বার), পিপিএম।
কমিশনের সিদ্ধান্ত মতে- গণশুনানির আয়োজন করে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, মাদারীপুর। সরকারী পরিষেবা প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ এবং সরকারি কর্মকর্তাদের মাঝে সততা, নিষ্ঠা, জবাবদিহিতা ও মূল্যবোধ বৃদ্ধি করার মাধ্যমে দেশ থেকে দুর্নীতি নির্মূল করাই গণশুনানির মূল অভিপ্রায়।
গণশুনানিতে মাদারীপুরের বিভিন্ন দপ্তরে সেবা নিতে গিয়ে ঘুষ, দুর্নীতি ও হয়রানির শিকার, সেবা প্রত্যাশী জনসাধারণ দৃঢ়তার সাথে কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। তাদের অভিযোগ সমূহ দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্তকর্তাগণ শুনেছেন এবং কিছু অভিযোগের সমস্যা সমাধান করার জন্য তাৎক্ষনিকভাবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে নির্দেশনা প্রদান করেছেন এবং অন্যান্য অভিযোগের বিষয়ে পরবর্তীতে কমিশন কর্তৃক যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে দুদক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দিয়েছেন।
গণশুনানিতে মাদারীপুর সদর হাসপাতাল, পাসপোর্ট, বি.আর.টি.এ. সাব-রেজিষ্টি অফিস, সহকারী কমিশনার (ভূমি), সমাজসেবা, নির্বাচন অফিস, পরিবেশ অধিদপ্তর, বিদ্যুৎ বিভাগ, ব্যাংকিং বিভাগ, শিক্ষা অফিস, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, পৌরসভাসহ মোট ৩৮ টি দপ্তরের ১০৭ টি অভিযোগ পাওয়া যায়।