আসন সংকট নিরসনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলাদেশ কুয়েত-মৈত্রী হলের ৩০০ আবাসিক ছাত্রীকে অন্য হলে স্থানান্তরসহ তিন দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে হলটির সাধারণ শিক্ষার্থীরা। রবিবার দুপুরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের কার্যালয়ে তার কাছে স্মারকলিপি দেন তারা। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন।
শিক্ষার্থীদের অন্য দাবিগুলো হলো, হলের আসন সংখ্যার সঙ্গে সমন্বয় রেখে শিক্ষার্থী সংযুক্তি দেওয়া এবং মূল ভবনের প্রতি রুমে ছয় জনের বেশি শিক্ষার্থী বরাদ্দ দিয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট না করা।
নিজেদের দাবির পক্ষে ১০৫ শিক্ষার্থীর স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছেন তারা। এছাড়া দাবি আদায়ে সোমবার দুপুরে তারা ভিসি চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন।
এদিকে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, বর্তমানে আমাদের হলের সিট সংকট চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলার পর্যায়ে পৌঁছেছে। ২০১৯-২০ সেশনের ৩৫ জন শিক্ষার্থী এখনো অতিথি কক্ষে অবস্থান করছে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে তারা ৪র্থ বর্ষে উঠেও এখনো বৈধ সিট পায়নি। ২০২০- ২১ সেশনের একাংশকে বৈধ সিট দেওয়া হয়েছে, যারা বর্তমানে ৩য় বর্ষে অধ্যয়নরত। ২০২১-২২ সেশনের বৈধ সিট দেওয়ার প্রক্রিয়া এখনো প্রশ্নাতীত। এমতাবস্থায়, ইতোমধ্যে ২০২২-২৩ সেশনকে এই হলে অ্যালোটমেন্ট দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ চারটি সেশনের শিক্ষার্থীরা মৈত্রী হলের সিট জটিলতায় তাদের বৈধ সিটের অধিকার হারাতে বসেছে।
তারা আরও বলেন, হলের মূল ভবনে ৫টি অতিথি কক্ষে চাপাচাপি করে ১০০ শিক্ষার্থী বার্ষিক ৪ হাজার টাকা দিয়ে অবস্থান করে। অথচ তাদের জন্য ৩টি ওয়াশরুম রয়েছে। এ ছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষিত সিকদার মনোয়ারা ভবনের তিনতলার ১৫টি অতিথি কক্ষ রয়েছে, যেখানে বর্তমানে ১১০ জন শিক্ষার্থী অবস্থান করছে এবং তাদের জন্য ২টি ওয়াশরুম আছে। আর দোতলায় ২৪ শিক্ষার্থীর জন্য একটি ওয়াশরুম রয়েছে। এতে তারা বর্ণনাতীত কষ্টে আছেন।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বলেন, আমি তাদের সঙ্গে কথা বলে হল পরিদর্শন করে এসেছি। তাদের দাবিগুলো যৌক্তিক। তিনি আরও বলেন, আগামী বছর থেকে হলে আসন কমিয়ে দিতে হবে। আমাদের সীমাবদ্ধতার মধ্যে যা কিছু করা যায়, তা করব। ইতোমধ্যেই প্রধান প্রকৌশলীকে বলে দিয়েছি।