দেশের ১৯ অঞ্চলে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। তাই এসব অঞ্চলের নদীবন্দরগুলোতে এক নম্বর সতর্ক সংকেত তোলা হয়েছে। শনিবার এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক জানান, রংপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর (পুনঃ) ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
অন্য এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মৌসুমী বায়ুর অক্ষ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে। ঢাকায় দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকবে ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার।
আগামী দুদিনে আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। বর্ধিত পাঁচদিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমতে পারে।
শনিবার দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে হাতিয়ায় ৮৩ মিলিমিটার। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ঈশ্বরদীতে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।