পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের অধীনে বন অধিদপ্তর এর আওতাধীন সকল বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা অফিস ধূমপান মুক্ত ঘোষণা করা হয়। আজ ২৭ অক্টোবর রবিবার বেলা ১২টায় আগারগাও বন ভবনের প্রধান বন সংরকের অফিসকে এক সংপ্তি আলোচনা সভায় প্রধান বন সংরক মো: ইউনুছ আলী এই ঘোষণা দেন।
বন অধিদপ্তর, সবুজ পাতা এবং ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট এর উদ্যোগে আয়োজিত সংপ্তি সভায় প্রধান বন সংরক মো: ইউনুছ আলীসহ উপস্থিত ছিলেন অধিপ্তরের গণসংযোগ কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান, সবুজ পাতা প্রধান সমন্বয়ক সাহেদ আলম,ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর পরিচালক এডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম, মিডিয়া এডভোকেসি অফিসার সৈয়দ সাইফুল আলম, ন্যাশনাল এডভোকেসি অফিসার মারুফ রহমান, ইমান উদ্দিন ইমন ও আক্তারুজ্জামান স্বপন।
মো: ইউনুছ আলী বলেন, আজ থেকে বন অধিদপ্তরের সকল শাখা অফিস ধূমপানমুক্ত ঘোষণা করা হলো। ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন অনুসারে পাবলিক প্লেসে ধূমপানের দায়ে ৩০০ টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়েছে। এই আইন বাস্তবায়ন করা সরকারের একার পে সম্ভব নয় তাই সরকারের সাথে সকলের সম্মিলিত প্রয়াসের মাধ্যমে ধূমপানমুক্ত কার্যক্রম গতিশীল করতে হবে। এরই অংশ হিসেবে আজ বন অধিদপ্তর ধূমপানমুক্ত ঘোষণা করা হলো। আমি আশাকরি এমনিভাবে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সরকারি বেসরকারি সকল অফিস ও আদালত ধূমপানমুক্ত ঘোষণা করা হবে।
এডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম বলেন, ধূমপান ও তামাকজাতদ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন, ২০১৩ বাংলাদেশ সরকারের জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে গৃহীত পদপেগুলোর মধ্যে অন্যতম। আইনটি প্রণয়নের অন্যতম উদ্দেশ্য তামাকের প্রত্য ও পরো জড়তি থেকে জনসাধারণকে রা করা। এ আইনের সরকারি বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠানে ধূমপানমুক্ত সাইন স্থাপন বাধ্যতামূলক এবং আইন অমান্যে জরিমানার বিধান করা হয়েছে। আইনের ৮ (১) উপ-ধারায়, প্রত্যেক পাবলিক প্লেসের মালিক, তত্ত্বাবধায়ক, নিয়ন্ত্রণকারী ব্যক্তি বা ব্যবস্থাপককে এক বা একাধিক স্থানে “সতর্কতামূলক নোটিশ” লাগানোর নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
সাহেদ আলম বলেন, জনস্বাস্থ্য রায় বন ভবনের এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। অধিকাংশ মাদকাসক্ত ব্যক্তি তামাক গ্রহণের মাধ্যমে নেশা জগতে পা রাখে। মাদকের ভয়াবহতা রুখতে তামাক নিয়ন্ত্রণ জরুরি। তামাক নিয়ন্ত্রণে শুধু মাত্র আইন হলেই চলবে না। আইন বাস্তবায়নে সকলের অংশগ্রহন প্রয়োজন।