হলি টাইমস রিপোর্ট :
অন্ধকারে আলো জ্বালাতে চান প্রবীন রাজনীতিবিদ আগা খান মিন্টু। সৎ নির্মোহ এই আওয়ামী লীগ নেতা জীবনের ক্রান্তি লগ্নে এসেও কোনো চাওয়া পাওয়ার মধ্যে নেই। বঙ্গবন্ধুর সহচার্জে থেকেছেন, বীরত্বের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন এবং মানব সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন তবুও রাজনীতি থেকে কোনো সুবিধা নিতে চাননি। কিন্তু জনমানুষের কল্যান এবং তাদের চাওয়া থেকেই ঢাকা-১৪ শূণ্য আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে চেয়েছেন। তিনি বলেছেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা তাকে মনোনয়ন দিলে এই ১৪ আসনের যে সব অন্ধকার দিক রয়েছে তাতে আলো জ্বালিয়ে দেবেন।
মি.মিন্টু বলেন, অকাল প্রয়াত সংসদ সদস্য আসলামুল হক এই আসনে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছিলেন। সেই ধারা অব্যাহতও রয়েছে। কিন্তু এই আসনের অনেক স্থানে এখনো উন্নয়ন ততটা হয়নি। বিশেষ করে কাউন্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদ এলাকা। এই এলাকায় পর্যাপ্ত স্কুল কলেজ নেই, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন একটা দ্বিপের মতো । মিরপুরের সঙ্গে সংযোগ করতে হলে প্রথম যেটি দরকার তা হচ্ছে তুরাগ নদীতে একটি ব্রীজ। এই ব্রিজ ছাড়া মিরপুর-১৪ আসনের উন্নয়ন ধারায় কোনো ভাবেই কাউন্দিয়াকে সংযোগ করানো যাচ্ছে না। তিনি মনোনয়ন পেলে এবং এমপি নির্বাচিত হলে এই অন্ধকার দ্বিপে শিক্ষা এবং উন্নয়নের আলো জ¦ালাবেন।
মি. আগা খান খুবই স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকাকে উন্নয়নের রোল মডেল করেছেন । তাতে যুক্ত থাকবে মিরপুর-১৪ আসন। এখানে ৩২ শত টাকার উন্নয়ন কাজ হচ্ছে। আরো হবে। এখন তিনি শুধু তথ্য প্রযুক্তি, শিক্ষা, ক্ষুদ্র শিল্প এবং ব্যবসার সুযোগ সৃষ্টি এবং যুব শ্রেনীর চাকরী ভিত্তিক দক্ষতা অর্জনের কাজগুলো করে যেতে চান।
মি. মিন্টু বলেছেন, তার আর চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই। তিনি আওয়ামী লীগ’কে আজীবন ভালোবাসেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি থেকে শুরু করে অনেকগুলো সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের শীর্ষ পদে রয়েছেন। যত সম্মান তিনি আওয়ামী লীগ করে পেয়েছেন তা অভাবনীয়। কোন লোভ নেই তার। জীবনের বাকি সময়টুকু তিনি দলের জন্য এবং মানুষের সেবায় বিলিয় দিতে চান। শুধু নির্বাচনে অংশ নেওয়াই নয় জননেত্রী শেখ হাসিনা যে নির্দেশনা দেবেন তাই-ই তিন নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবেন বলে জানানা।
ঢাকা -১৪ আসনের উপ নির্বাচনে জনমত জড়িপে এখনো এই বর্ষীয়ান নেতা এগিয়ে রয়েছেন। তার রয়েছে স্বচ্ছ এবং ক্লীন ইমেজ। সৎ বিমূর্ত এই নেতাকেই মনোনিত করতে চায় এলাকাবাসি। বাকি টুকু নির্বাচনী বোর্ডের হাতেই থাকলো।