
হলিটাইম্স নিউজডেস্ক
আগের পাঁচ বছরের তুলনায় ২০০৮ থেকে ২০১২ পর্যন্ত পরবর্তী পাঁচ বছরে চীনের অস্ত্র রপ্তানি ১৬২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে বিশ্ব অস্ত্র বাণিজ্যে চীনা অংশ ২ শতাংশ থেকে বেড়ে ৫ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বের পঞ্চম শীর্ষ অস্ত্র রপ্তানিকারী দেশ হিসেবে উঠে এসেছে চীন।
স্নায়ুযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর অস্ত্র রপ্তানির তালিকায় এটিই চীনের সর্বোচ্চ অবস্থান। সোমবার এক বিবৃতিতে সুইডেনভিত্তিক স্টকহোম পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এসআইপিআরআই) এ তথ্য জানায়। আগের পাঁচ বছরের তুলনায় ২০০৮ থেকে ২০১২ পর্যন্ত পরবর্তী পাঁচ বছরে চীনের অস্ত্র রপ্তানি ১৬২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে বিশ্ব অস্ত্র বাণিজ্যে চীনা অংশ ২ শতাংশ থেকে বেড়ে ৫ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে।
গত পাঁচ বছরের এ সময়কালে যুক্তরাজ্যকে পেছনে ফেলে চীন বিশ্বের শীর্ষ পাঁচ অস্ত্র রপ্তানিকারী দেশের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে। বিশ্ব অস্ত্র বাণিজ্যে ৩০ শতাংশ অংশীদারিত্ব নিয়ে শীর্ষে আছে যুক্তরাষ্ট্র আর ২৬ শতাংশ অংশীদারিত্ব নিয়ে পরবর্তী স্থানে আছে রাশিয়া। এ তালিকায় তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে আছে জার্মানি ও ফ্রান্স। বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীন বিমানবাহী রণতরী ও ড্রোন বিমানের মতো আধুনিক সমরাস্ত্র নির্মাণের মাধ্যমে সামরিক সক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সামরিক বাজেট ক্রমাগত বৃদ্ধি করছে। গত নভেম্বরে দক্ষিণ চীনের ঝুহাই বিমান প্রদর্শনীতে প্রথমবারের মতো সমর হেলিকপ্টার, মিসাইল, মানুষবিহীন বিমান এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার প্রদর্শনী করে দেশটি। বিবৃতিতে জানানো হয়, “রপ্তানিকৃত চীনা অস্ত্রের ৫৫ ভাগ পাকিস্তান কিনে থাকে।
যুদ্ধবিমান, সাবমেরিন ও ফ্রিগেটের মতো বিভিন্ন সমরাস্ত্রের পরিকল্পিত বিশাল সরবরাহ আদেশের কারণে আসছে বছরগুলোতেও চীনা অস্ত্রের সবচেয়ে বড় ক্রেতা থাকবে দেশটি। আগামী বছরগুলোতে এসব সমরাস্ত্র সরবরাহ করার কথা আছে।”
পাকিস্তানের পরেই আছে মিয়ানমার। রপ্তানিকৃত চীনা অস্ত্রের ৮ শতাংশ এ দেশটি আমদানী করে। এরপরে থাকা বাংলাদেশ আমদানী করে ৭ শতাংশ। তালিকার পরবর্তী দেশগুলো হল আলজেরিয়া, ভেনেজুয়েলা এবং মরক্কো। তবে চীন কখানোই অস্ত্র বিক্রির দাপ্তরিক কোনো তালিকা প্রকাশ করেনি। আন্তর্জাতিক অস্ত্র বাজারে প্রাপ্ত বিক্রয় তথ্য থেকেই এসআইপিআরআই এর প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।